শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
সার সিন্ডিকেট হোতারা ধোঁয়া ছোঁয়ার বাহিরে কেন লালমনিরহাটে তামাকের বিষে কমছে জমির ঊর্বরতা; বাড়ছে স্বাস্থ্য ঝুঁকি লালমনিরহাটে জেন্ডার-সংবেদনশীল দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসকরণ ও জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অভিযোজন বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে আত্মনির্ভরশীল দল এবং ইউডিএমসি এর মধ্যে অ্যাডভোকেসি এবং লবিং মিটিং অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার মূল্য নিয়ন্ত্রণ ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত পাটগ্রামে শহীদ জিয়া স্মৃতি গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্ণামেন্ট অনুষ্ঠিত গণতন্ত্র আমাদের হাতের নাগালে নাই-লালমনিরহাটে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায় লালমনিরহাটে বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা ও ঔষধ সেবা অর্ধেক মূল্যে হত দরিদ্রদের ছানি অপারেশন অরবিট চক্ষু হাসপাতালে লালমনিরহাটে শীতের হরেক রকমের পিঠার দোকানের পসরা নিয়ে বসছেন বিক্রেতারা বিএনপির কর্মী সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত
লালমনিরহাটের শাহীনুর ইসলামের উদ্যোক্তা হয়ে উঠার গল্প

লালমনিরহাটের শাহীনুর ইসলামের উদ্যোক্তা হয়ে উঠার গল্প

আলোর মনি ডটকম ডেস্ক রিপোর্ট: দেশের বৃহত্তর রংপুর বিভাগের লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামে ১৯৮৭ সালের ১৫ নভেম্বর উদ্যোক্তা মোঃ শাহীনুর ইসলাম এক গরীব কৃষকের পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। শাহীনুর ইসলাম-এঁর পিতার নাম মোঃ জবার উদ্দিন, মাতা মোছাঃ সাহিদা বেগম। ৪ ভাই-বোনের মধ্যে বড় শাহীনুর ইসলাম। ছোটবেলা থেকেই শাহীনুর ইসলাম ছিলেন মেধাবী। গরীব পিতার পরিবারে সহযোগিতার পাশাপাশি কষ্ট করে লেখাপড়া চালিয়ে যাচ্ছে। ২০০৩ সালে বিজ্ঞান বিভাগে মাধ্যমিক পাস করে পাটগ্রাম সরকারি কলেজে এইচএসসিতে ভর্তি হয়। অর্থের অভাবে বিজ্ঞান  বিভাগে অধ্যয়নরত এই ছাত্রের প্রাইভেট পড়তে অসুবিধা হতো তবুও পিতা জবার উদ্দিন কষ্ট করে লেখাপড়ার টাকা যোগান দিতেন। মাঝে মাঝে টিউশনি করতেন তিনি। বিজ্ঞান বিভাগে পদার্থ, রসায়ন, উচ্চতর গনিত বিষয়ের মত সাবজেট এর চাপ অপরদিকে অর্থের চাপ শাহীনুর ইসলামের মানসিকতার উপর কঠিন আঘাত করত। সে ভাবত যদি একটা চাকুরী পেতাম তাহলে পরিবারকে আর কষ্ট করতে হতো না। বিশেষ করে তার ছোট ভাই শাহীবুল ৫ম শ্রেণী পর্যন্ত লেখাপড়া করে সংসারের কাজে বাবাকে সহযোগিতা করে। শাহীনুর ইসলাম চিন্তায় থাকত কবে একটা চাকুরী পাই। এইচএসসি পরীক্ষার ঠিক ৪ মাস পূর্বে একটা দালাল চক্র আসে শাহীনুর ইসলামের কাছে বলে শাহীনুর তোমার পুলিশের চাকুরী হয়ে যাবে তোমাকে এতো টাকা দিতে হবে। শাহীনুর ইসলাম রাজী হয়ে গেলো যাহোক বাবা-মাকে আর কষ্ট করতে হবে না। শাহীনুর ইসলাম তার বাবাকে বিষয়টি বলল এবং অসহায় বাবা বাড়ির গৃহপালিত গরু বিক্রি করে ধার দেনা করে সেখানে টাকা দিলো। এরপর এদিকে পরীক্ষা সামনে লেখাপড়াও তেমন করে না। যেহেতু টাকা দিয়ে দিছে চাকুরীতো হবে এরপর ঠিক পরীক্ষার পূর্বে একদিন দালাল চক্র এসে বলে শাহীনুর ইসলাম তোমার চাকুরীটা হবে না। এবারে খুব কড়া। মাথায় যেন আকাশ ভেঙ্গে পড়ল। দালালকে দেওয়া টাকা শাহীনুর ইসলাম দফায় দফায় ফেরত পেলেও সময়টা আর ফিরে পেলো না। এরপর পরীক্ষা দিলো ভারাক্রান্ত মনে যার ফলশ্রুতিতে রসায়নে অকৃতকার্য হল। পরবর্তীতে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করলেও ভারাক্রান্ত মন নিয়ে শুরু করল কর্ম জীবন। শুরু করল নুরি পাথরের ব্যবসা, কিছুদিনের মধ্যে বেশ লাভজনক অবস্থায় পৌছালো। যেহেতু পাথর সিজেনারি ব্যবসা তাই সে শুরু করলো বাজারে কম্পিউটারের দোকান। দোকানের প্রিন্টার নষ্ট হওয়ায় প্রিন্টার নিয়ে গেলাম লালমনিরহাটে সেই ফাকে স্বাস্থ্য সহকারীর পরীক্ষা ছিলো সেটাও দিয়ে আসল সে। পরীক্ষার চারদিনের  মাথায় রেজাল্ট আসলো সেখানে সে রিটেন এ  টিকেছে। এরপর শুরু হয়ে গেলো দৌড়ঝাপ অমুক নেতা তমুক নেতার কাছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এবারও কাজ হলো না। ব্যবসার পুঁজি যা ছিল তা ইতিমধ্যে সব শেষ। এরপর ২০১৩ সালের শেষের দিকে বুড়িমারী ইউনিয়ন তথ্য কেদ্রের মোস্তাফিজুর রহমান লিপন এসে বলল তথ্য সেবায় তুমি জয়েন করো আমি অন্য যায়গায় জয়েন করব। সেখান থেকেই ডিজিটাল সেন্টার এ আমার কাজ শুরু। ২০১৪ সালে উদ্যোক্তা সম্মেলনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভাষন ও প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল সন্তান স্বীকৃতি উদ্যোক্তা শাহীনুর ইসলামকে দারুনভাবে অনুপ্রাণিত করে। মন দিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মানে কাজ শুরু করে। উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে বিভিন্ন সেমিনারে স্বতস্ফুর্ত অংশগ্রহণ ও এটুআই এর উর্ধতন কর্মকর্তাদের পরামর্শ অনুযায়ী জনগনের দোরগড়ায় সহজে সেবা পৌছে দেওয়ার লক্ষে কাজ শুরু করেন। যার ফলশ্রুতিতে ২০১৮ সালে জেলা শ্রেষ্ঠ উদ্যোক্তা এবং ই-চালানে দেশসেরা ১ম স্থান অর্জনকারী উদ্যোক্তা হিসাবে নির্বাচিত হন। ২০২০ সালে মুজিব শতবর্ষ ই-সেবা ক্যাম্পেইন এ বিশেষ প্রচারনার জন্য দেশসেরা উদ্যোক্তা নির্বাচিত হন। বর্তমানে শাহীনুর ইসলামের এক ছেলে এক মেয়ে, বাবা-মা, ভাই, ভাইয়ের ছেলে-মেয়েসহ পরিবারের মোট ১০জন সদস্যকে নিয়ে সুখে আছে। তিনি আরও কয়েকজনকে তার সেন্টারে চাকুরীর  ব্যবস্থা করেছেন। তিনি সকলের নিকট দোয়া প্রার্থী।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone